সৌদি আরব ও পাকিস্থানের সম্পর্ক এতটা খারাপ কেন হল?


 সৌদি আরব ও পাকিস্থানের সম্পর্ক এতটা খারাপ কেন হল?





স্বাধীনতার পর থেকে আজ অব্ধি পাকিস্থানের মিত্র দেশের তালিকায় সবার উপরে থেকেছে সৌদি আরবের নাম- অর্থনৈতিক সামাজিক সামরিক কিংবা ভু- রাজনৈতিক যে কোন সমস্যা নিয়ে এই দুই দেশ কাধে কাধ মিলিয়ে চলেছে এত দিন- এই কিছু দিন আগেও এমবি এস খ্যাত যুবরাজ সালমান পাকিস্থানে এলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার প্রটকল ভেংগে নিজে ড্রাইভ করে সালমান কে বিমান বন্দর থেকে নিজে এসেছিলেন- কিন্তু হঠাত কি এমন হলো - এত দিনের পরিক্ষিত বন্ধুত্বের গায়ে লাগলো সন্দেহর কালিমা-  কেন পাকিস্থানের মন্ত্রী মহাদয়ের এমবি এস এর সাক্ষাৎ পেতে ধর্না দিয়েও সাক্ষাৎ না পেয়ে গোমরা মুখে চলে আসতে হয়- কেনই বা পাকিস্থান কে ঋণ দিতে চেয়েও না দিয়ে উল্টো বকেয়া পাওনা চেয়ে পাঠায়? কেনই বা পাকিস্থানের আজন্ম ইস্যু কাশ্মীর এর প্রসঙ্গে সৌদি আরব তেমন একটা গায়ে লাগায় না? কেনই বা অর্থ নৈতিক আর পারমানবি শক্তিধর দুই বন্ধু দেশের দুই পথে চলা? কআর এই সব নিয়েই আজকের পোস্ট মর্টেম - 





যদিও গত কয়েক বছরের সৌদি ব্লক এর সাথে পাকিস্থানের সম্পর্ক ধোয়াচ্ছন্ন ছিল কিন্তু সেই ধোয়াচ্ছন্ন সম্পর্কের ফাটলের সংবাদ প্রথম প্রকাশ পায় যখন গত ৪ঠা অগাস্ট পাকিস্তানের একটা টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী বলেন তিনি আবারও ‘ওআইসি’কে আহ্বান করছেন যাতে তারা কাশ্মির ইস্যুতে কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্স এর একটা আলোচনার ডাক দেয়।  যদি ‘ওআইসি’ সেটা করতে ব্যর্থ হয়, তবে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বলতে বাধ্য হবেন যে, তিনি যেন এমন একটা আলাদা আলোচনার ডাক দেন, এমন মুসলিম দেশগুলি যোগ দেয় যারা কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে। তিনি অত্যান্ত হতাশ হয়ে বলেন যে, ‘ওআইসি’ এবং পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলি মানতেই চায় না ভু রাজনীতিতে পাকিস্থানের একটা নিজস্ব অবস্থান রয়েছে । 





কোরেশী কথা গুলো কোন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এ বলেন নি- বলেছিলেন তার নিজের দেশের একটা টিভি চ্যানেলে - যা বলে হয়ত পাকিস্থানের জনগন কে এই বার্তা দিতে চেয়েছিলেন - তারা সরকারী ভাবে কাশ্মীর ইস্যুতে কোন ছাড় না দিলেও এত দিনের মিত্র দেশ গুলোকে পাশে না পাওয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছেন না- তার বলা কথা গুলো  তখন হতাশার বানী হিসাবেই বেশি মনে হয়েছিল- কিন্তু কি এমন হল? তার বিষদ জানতে গিয়েই সব কিছু দৃশ্যমান হয়ে যায় বিশ্লেষক দের সামনে - গত বছর কাশ্মীরের ইস্যু নিয়ে যখন ভারত পাকিস্থান সাপে নেউলে আচরন করতে করতে যুদ্ধের দার প্রান্তে দাঁড়িয়ে তখন মিত্র দেশ আরব আমিরাত ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মদী জি কে অভ্যার্থনা দিয়ে ভারতের পাশে আছে বলে প্রকাশ করে- ঘটনাটি পাকিস্থানের ১৮ কোটি মানুষ তো বটেই সারা দুনিয়ার তাবৎ বিশ্লেষকের কাছে কেবল অপ্রত্যাশিতই লাগেই নি মনে হয়েছে অকল্পনীয়- আমিরাতিদের মুসলিম হিসাবে  কাস্মীরী মুসলিম দের পাশে থাকার কথা - ভারতের বিপক্ষে পাকিস্থানের কথার সুরের সাথে সুর মিলিয়ে কথা বলার কথা - সেই আমিরাতি আমীর কিনা সেই সময় ভারত কে জামাই আদর করতে ব্যাস্ত- পাকিস্থানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান তখন সৌদি আরবের কাছে নালিশ জানিয়েছিল - কিন্তু সৌদি আরব কিছু না বলে বরং আমিরাতিদের উৎসাহ দিয়ে পাকিস্থানের বুকে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয় - 





আরবদের পাকিস্থানের উপর চটার কারন হল আরব রা পাকিস্থানিদের তাদের হুকুমের দাশ মনে করে - পাকিস্থান পারমানিবিক শক্তিধর দেশ - সামরিক শক্তি তে উপসাগরীয় প্রায় সব দেশের সামরিক শক্তির চেয়েও বেশি সামরিক শক্তি হোল্ড করে - আরব রা এত দিন পাকিস্থান কে সাহায্য করেছে কোন সামরিক সহায়তার দরকার পরলে পাকিস্থান তাদের পাশে সর্ব শক্তি দিয়ে পাশে দাঁড়াবে- শুধু মাত্র এ কারনেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাহায্য করেছে তারা- পাকিস্থানের পারমানবিক শক্তি ধর হিসাবে আত্ম প্রকাশ করতে সৌদি আরবের প্রেট্রো ডলারের বিশেষ অবদান ই কেবল ছিল না- পাকিস্থানের প্রায় সব বিপদে অকাতরে বিলিয়ে গেছে- বিনিময়ে ইমিয়েন এ সৌদি হামলার সময় পাকিস্থান কে পাশে চেয়েও পায় নি- অথচ তারা ভেবেছিল - ইমেয়েনে যা করার পাকিস্থানি সামরিক বাহিনী ই করবে- কিন্তু পাকিস্থান সেই ভাবে চায় নি- ইমেয়েনে সেনা পাঠিয়ে পাশের দেশ ঈরানের সাথে বৈরিতার সম্পর্ক হউক তা চায়নি বলেই পাকিস্থান আরব দেশ গুলোর সাথে নৈতিক ভাবে থাকলেও সেনা পাঠায় নি- আর যে ইমেয়েনে সৌদি আরব সহ চার মিত্র দেশের লেজে গোবরে দশা তার মুলে পাকিস্থান এর পিছু টান কে দায়ী করে সৌদি আরব -





ভাঙ্গা সমম্পর্কের দায় বয়ে বেরানো যন্ত্রণা সে এক ভীষণ যন্ত্রণা বলেই কিনা মিস্টার কোরেসীর বক্তব্য এর পর পর ই ফিনানশিয়াল টাইমস’ পাকিস্থান আর সৌদি আরবের উপর একটা প্রতিবেদন ছাপে - এতে দাবি করা হয় ‘সৌদি আরব পাকিস্তানের জন্যে পুর্ব ঘোষিত ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের যে ঋণ সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত এর সাথে সাথে তাদের পাওনা টাকার কিস্তির পরিশোধের তাগাদা দেয় যার পরমান ১ বিলিয়ন ডলার । মরার উপর খারার ঘা হল পাকিস্থানের অর্থ নৈতিক মন্দায় দুর্বিষহ যে পাকিস্থান সরকার সৌদিদের ঋণ সহায়তা নিয়ে সাময়িক ভাবে চাপ হালকা করতে চেয়েছিল সেই সহায়তা তো পেলই না - উল্টো ঋণ পরিশোধের চাপ - উপায় অন্ত না খুজে পেয়ে চিনাদের কাছে জরুরী সহায়তা চেয়ে সেই খান থেকে টাকা নিয়ে সৌদিদের ঋণ পরিশোধ করতে হয় - ২০১৮ সালের নভেম্বরে দেয়া ওই ঋণ সুবিধা যদি পাকিস্থান না পেত তবে পাকিস্থান কে দেউলিয়া রাস্ট্রের তকমা গায়ে জরাতে হত - কারন  তখন পাকিদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর পরিমান ভয়াবহ রকমের কমে গিয়েছিল। আল জাজিরা একটা প্রতিবেদনে দাবি করে পাকিস্থানবিশেষ সুবিধার আওতায় সৌদি আরব থেকে কেনা তেলের মূল্য এত দিন দেরিতে পরিশোধ করত - এ ব্যাপারে তাদের ভিতর একটা চুক্তি হয়েছিল - সৌদি আরব সেই চুক্তিও নাকি  নবায়ন করা বন্ধ করে দিয়েছে । গত বছর ১৭ই অগাস্ট পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সৌদি আরব সফর যান -  পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকার দাবি,পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ওআইসি’র আরব নেতৃত্বের সমালোচনা এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান সৌদি আরবের অবাধ্য হবে না বলে আশ্বাস দিয়ে সৌদি আরবের মান ভাংগাবার একটা চেস্টাই প্রধান্য পাবে -  যাতে সৌদি রা পাকিস্থানের উপর দেওয়া তাদের বন্ধ করে দেওয়া অর্থনৈতিক সহায়তা আবার চালু করে- পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অবশ্য সেনা প্রধানের এই সফরকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মাঝে নিয়মিত সফরের অংশ হিসেবেই আখ্যা দেয়। সেনা প্রধানের ফিরে আসার কয়েকদিন পরেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে কাশ্মিরের ব্যাপারে ‘ওআইসি’র ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। যদিও এই ঘটনার ভিতর সৌদি তথা আরব বল্কের কোন দেশ ই কাশ্মীর সম্পর্কে কোন কিছুই করেনি বা বলেনি-  পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশীও সাংবাদিকদের কাছে দাবী করে বলেন যে , কাশ্মির ইস্যুতে ‘ওআইসি’ বহু রেজোলিউশন পাস করেছে, যার ব্যাপারে কোন সন্দেহই নেই। আর সেই ব্যাপারগুলি পাকিস্তানের অবস্থানের সাথে মিল রেখেই হয়েছিল। তিনি আরও পরিষ্কার করে বলেন যে, পাকিস্তানের সাথে সৌদি আরবের কোন মতপার্থক্য নেই। এতো অল্প সময়ের মাঝে পরস্পরবিরোধী এই খবরগুলির গুরুত্ব আসলে কোথায়?





সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের মাঝে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা রয়েছে। গত বছর দুই দশের মাঝে বাণিজ্য ছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার; যার মাঝে ৭৪ শতাংশই ছিল সৌদি আরব থেকে পাকিস্তানের তেল আমদানি। পাকিস্তানের এক চতুর্থাংশ তেল আসে সৌদি আরব থেকে। এছাড়াও প্রায় ২৫ লক্ষ পাকিস্তানি সৌদি আরবে কর্মরত রয়েছে; যাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের মোট রেমিট্যান্স আয়ের ৩০ শতাংশ আসে। অপরদিকে সৌদি আরবের সামরিক বাহিনীর গঠন এবং প্রশিক্ষণের পিছনে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তথাপি কাশ্মির ইস্যুতে সৌদি আরবের পক্ষে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নেয়াটা অতটা সহজ নয়। ‘আল জাজিরা’ মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, পাকিস্থানের সাথে সৌদির সম্পর্ক যদি হয় ভ্রাতৃত্বের ভারতের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক তেমনি বানিজ্যের - ভারতের সাথে তাদের বার্ষিক বাণিজ্য এখন প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরব এতবড় বাণিজ্য তরি ছেড়ে দিয়ে কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই চটাতে চাইবে না। ভারতের সাথে মুসলিম সৌদি আরবের সম্পর্কের ব্যাপারে মুসলিম পাকিস্তানের অসন্তোষ থাকলেও সৌদি আরবের সাথে ভারতের সম্পর্কের ব্যাপারে পাকিস্তানের দরকষাকষির সুযোগ খুব কমই পাচ্ছে 





বিশেষ করে যখন গতবছর কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়া, তুরস্ক এবং পাকিস্তান আলাদাভাবে ‘ওআইসি’কে বাইপাস করে মুসলিম দেশগুলির নেতৃত্ব নেবার একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরির দিকে এগিয়ে যায়। এই দেশ তিনটি নিজেদের ভিতর সামরিক বানিজ্যিক সম্পর্ক ছাড়া ও ইসলামী মুল্যবোধ জাগাতে একটি মিডিয়া কোম্পানী খুলতে চেয়েছিল । যাতে পত্রীকা ছাড়া ও একটি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল। মুসলিম বিশ্ব এর নেত্রিত্ব নিয়ে সৌদি আরব আর তুরস্কের সম্পর্কের  টান পোরনের ভিতর সৌদি আরব কোন ভাবেই চায়নি পাকিস্থান বিরোধী এরোদোগান শিবিরে নাম লেখাক।  পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেই বৈঠক থেকে শেষ মুহুর্তে নিজের নাম সড়িয়ে নিয়ে সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বা ‘এমবিএস’এর অধীনে সৌদি আরব তুরস্ক, ইরান এবং কাতারকে প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র হিসেবে দেখছে; পাকিস্তানের সাথে এই দেশগুলির সম্পর্কোন্নয়নও তাই সৌদি আরবের কাছে ভালো ঠেকছে না।





‘উড্রো উইলসন সেন্টার ফর স্কলার্স’এর দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলমান জার্মান পত্রিকা ‘ডয়েচে ভেলে’কে বলছেন যে, পাকিস্তানের অবস্থা প্রকৃত পক্ষে লেজে গোবুরে। পাকিস্থানের পক্ষে প্রমাণ করা কঠিন হচ্ছে যে, পাকিস্তানের কাশ্মির নীতি কাজ করছে। এই প্রচেষ্টা যদি ফলাফল না নিয়ে আসে, তাহলে তারা কি করবে? এসিসট্যান্ট প্রফেসর রাজা কায়সার আহমেদ যিনি কিনা সলামাবাদের ‘কায়েদ এ আজম ইউনিভার্সিটি’তে পড়ান, তিনি বলেছেন এখন পর্যন্ত কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তান শুধুমাত্র চীন, তুরস্ক এবং মালয়েশিয়াকে পাশে পেয়েছে। এই অবস্থা থেকে বের হতে গেলে পাকিস্তানের আরও আক্রমণাত্মক কূটনীতিতে যেতে হবে। কুগেলমান বলছেন যে, সৌদিদের সাথে সমস্যা খুব সহজেই মুছে যাবে না; তবে চীন এবং আরবের বাইরে অন্যান্য মুসলিম দেশের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।





কাশ্মির ইস্যুতে অনৈক্য মুসলিম দেশগুলির পারস্পরিক সাংঘর্ষিক জাতীয় স্বার্থের বেড়াজালে আটকে রয়েছে। সৌদি নেতৃত্বের দেশগুলির সাথে তুর্কি নেতৃত্বের দেশগুলির দ্বন্দ্ব এতটাই প্রাধান্য পেয়েছে যে, মুসলিম নেতৃত্বের কাছে কাশ্মির, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইয়েমেন বা উইঘুরের মতো সমস্যাগুলি ছোট হয়ে গিয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে চীনের কাছ থেকে ব্যাপক সহায়তা পাওয়ায় পাকিস্তানের জন্যে সৌদি আরবের সাথে মনোমালিন্য কাটিয়ে ওঠা সহজতর হবে। তবে কাশ্মির ইস্যুতে চীন, তুরস্ক বা মালয়েশিয়ার সমর্থন পেলেও এখানেও যে স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকবে না, তার নিশ্চয়তা পাকিস্তানের কাছে নেই। আদর্শগত অবস্থান নয়, বরং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই এগুচ্ছে পাকিস্তানসহ সকলে। অপরদিকে কোন পথে এগুলে কাশ্মির সমস্যার সত্যিকার সমাধান হবে, সেটার উত্তরও পাকিস্তানের কাছে নেই।


Comments